এক চা-চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা কোষ্ঠবদ্ধতা ও অম্লত্ব দূর করে। রক্তশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে, কারণ এতে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ থাকে। এছাড়া ফুসফুসের রোগ ও শ্বাসকষ্টের নিরাময়ে মধু উপকারী।
কালোজিরা মধুর বৈশিষ্ট্যঃ কালোজিরা ফুলের মধু দেখতে গাড় কালচে রঙের হয়ে থাকে, এটি খেতে গুড়ের মত স্বাদ হয়ে থাকে। নন প্রসেস 'র' কালোজিরা ফুলের মধুর উপরি অংশে ফেনা দেখা দিতে পারে। এর উপাদানে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। এতে থাকে ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশ মন্টোজ। এতে চর্বি ও প্রোটিন নেই।
মধু কুরআনিক ঔষধঃ মধুই একমাত্র মেডিসিন যা পবিত্র কুরান পাকে বর্ণিত হয়েছে । কুরআন পাকে আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ তার [মৌমাছির] পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানীয় [মধু] নির্গত হয়; তাতে মানুষের জন্য রয়েছে সুস্থতা। (সুরা নাহল, আয়াত-৬৯)
হজমে সহায়তাঃ ফুলের মধুতে যে শর্করা থাকে, তা সহজেই হজম হয়। কারণ, এতে যে ডেক্সট্রিন থাকে, তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ক্রিয়া করে।
শরীরে পুষ্টি যোগায়ঃ মধুতে ভিটামিন, খনিজ, এনজাইম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতায় অবদান রাখে।
যৌন দুর্বলতায়ঃ পুরুষদের মধ্যে যাঁদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে, তাঁরা যদি প্রতিদিন মধু ও ছোলা মিশিয়ে খান, তাহলে বেশ উপকার পাবেন।
পাকস্থলীর সুস্থতায়ঃ মধু পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে এবং হজমের গোলমাল দূর করে। এর ব্যবহার হাইড্রোক্রলিক অ্যাসিড ক্ষরণ কমিয়ে দেয় বলে অরুচি, বমিভাব, বুকজ্বালা এগুলো দূর করা সম্ভব হয়।
ওজন কমাতেঃ মধুতে নেই কোনো চর্বি। পেট পরিষ্কার করে, চর্বি কমায়, ফলে ওজন কমে।
কাশি এবং গলা ব্যথা প্রশমিত করেঃ নন-রিফাইন মধু কাশি প্রশমিত করতে এবং গলা ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে।
গলার স্বরঃ এটি গলার স্বর সুন্দর ও মধুর করে।
অনিদ্রায়ঃ মধু অনিদ্রার ভালো ওষুধ। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা–চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে।
শক্তি বৃদ্ধি করেঃ মধু হল কার্বোহাইড্রেটের একটি প্রাকৃতিক উৎস, যা শরীরে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃ দুই চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ রসুনের রস মেশান। সকাল-সন্ধ্যা দুইবার এই মিশ্রণ খান। প্রতিনিয়ত এটার ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপ কমায়। প্রতিদিন সকালে খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত।
রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায়ঃ মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ভেতরে এবং বাইরে যেকোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতাও জোগান দেয়। মধুতে আছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান, যা অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
তারুণ্য বজায় রাখতেঃ তারুণ্য বজায় রাখতে এই মধুর ভূমিকা অপরিহার্য। এটি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রং ও ত্বক সুন্দর করে। ত্বকের ভাঁজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। শরীরের সামগ্রিক শক্তি ও তারুণ্য বাড়ায়।